হেমন্তের শেষের দিনগুলোতে শুকনা পাতার ওড়াউড়ি আর গাছের কোটরে লুকিয়ে থাকা দুধের সরের মতো ছেঁড়া কুয়াশা দেখেই বলে দেয়া যায় শীত আসছে। প্রকৃতির নীরব আর সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলো রাসেল খুব গভীর ভাবে খেয়াল করে থাকে। আর সেটা প্রাণ ভরে উপভোগ করার জন্যই হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পারের এই জায়গাটা রাসেলের খুব প্রিয়। লেকের ওপারে ডালপালা ছাড়িয়ে অগোছালো ভাবে দাঁড়িয়ে আছে অনেকগুলো শ্বেত কাঞ্চন। আর লেকের এপার ঘেঁষে জল ছুঁইছুঁই হিজলের সারি। তার পাশেই ল্যাম্পপোস্টের মতো নিঃসঙ্গ ছাতিম গাছটা তার অনেকগুলো একাকী মুহূর্তের সাক্ষী। শরতের শেষে শুক্লা দ্বাদশীর রাতে বুড়ো ছাতিম গাছটা হলদেটে সাদা রঙের থোকা থোকা ফুলে ভরে যায়। তখন ক্ষ্যাপাটে বাতাসে তার মিষ্টি ঘ্রাণ থেকে থেকেই ছড়িয়ে পড়ে চারদিক। সে ফুরফুরে মিষ্টি ঘ্রাণে কি রকম এক ভালোলাগার অনুভূতি ছড়িয়ে যায় শরীরের শিরায় উপশিরায়।
এই শহরের নিওন আলোয়
একটা সময় স্বপ্ন ভেসে বেড়াতো,
এক সরোবর প্রতীক্ষা নিয়ে
কারো কাজল গভীর চোখ
সেই স্বপ্ন মেখে নিবে বলে-
চকোরীর চোখে চেয়ে থাকতো।
একজন প্রেমিক আকাশ হবে বলে
জোছনা ভেজা বুকে-
নগরীর নিস্তব্ধতা কেড়ে নিয়ে
রাত জাগতো-
কোজাগরীর উষ্ণতা মাখবে বলে রাত জাগতো।
কবিতায় যার বর্ণনা দেয়া হয়েছে তিনি ছিলেন উরুকের রাজা, আজ থেকে সাড়ে চারহাজার বছর আগে তিনি প্রাচীন উরুক রাজ্য শাসন করেছেন। তার নাম গিলগামেশ, সুমেরীয় ভাষায় বিলগামেশ। তাকে নিয়েই প্রায় ২১০০ খ্রিস্টপূর্বে প্রাচীন লোকেরা প্রজন্মান্তরে লিখে গেছেন “এপিক অফ গিলগামেশ”। ধারণা করা হয় এর লেখক হয়তো একজন নয়। উদাহরণ স্বরূপ, বাল্মীকি রামায়ণ লিখলেও তিনি কিন্তু একাই এর রচয়িতা নন। যুগযুগ ধরে মানুষের মুখে ঘুরেফিরে এসব গল্প, আর তাতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি মিলে ধীরে ধীরে তৈরি হয় একেকটা মহাকাব্য।
আমার প্রথম প্রেম হয়েছিল অভাবের সাথে।...প্রতিবার তোমার অবজ্ঞা
আমাকে প্রতিবার তোমার কাছে
ফিরবার বাহানা দেয়।...আর কখনো জানতেও চাইনি ভালেবাসো কীনা!...আমাদের প্রথম দেখা ঠিকুজি-কোষ্ঠি যাচাই করে হয়নি,