কবি সুনীল সাইফুল্লাহ: ইউথেনেশিয়া নাকি আত্মহনন

প্রবন্ধ ফুটনোটে জলছাপ
কবি সুনীল সাইফুল্লাহ: ইউথেনেশিয়া নাকি আত্মহনন

“ঠিক তিন বছর পর আমি আত্মহত্যা করে যাবো”। 

 

“ইউথেনেশিয়া” মানে স্বেচ্ছা মৃত্যু, এটা প্রয়োজন হয় যখন জীবন মৃত্যুর চেয়ে বেশি বেদনাদায়ক। “ইউথেনেশিয়া” শব্দটি গ্রিক শব্দ “ইউ” (eu) এবং “থানাতোস” (thanatos) থেকে এসেছে। “ইউ” অর্থ  ভালো বা সহজ এবং “থানাতোস” মানে মৃত্যু। কবিদের স্বেচ্ছামৃত্যুর ইচ্ছে বা আত্মঘাতি হওয়া বিচিত্র কিছু নয়, বরং অনেক সময়ে এটা একটা নন্দনতাত্ত্বিক প্রবণতা। স্বাধীন বাংলাদেশে সত্তরের দশকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নগুলো যখন ভূলুণ্ঠিত, সেই স্বপ্নভঙ্গের বেদনা সে সময়ের কবিদের লেখায় বেশ টের পাওয়া যায়। নিঃসঙ্গতার কবি আবুল হাসান তখন বাংলা সাহিত্যে সবেমাত্র ক্রেজ। নিঃসঙ্গতা, নির্জনতা, আশাভঙ্গের বেদনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, প্রেম এবং প্রেমে ব্যর্থতা এ সময়ের লেখকদের লেখায় ঘুরেফিরে এসেছে।

 

সত্তরের দশকেই কবি কায়েস আহমেদ আত্মঘাতি হয়েছিলেন, আবার কবি ফজল মাহমুদ প্রকাশ্য দিবালোকে রোকেয়া হলের সামনে প্রেমিকার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বিষপান করেছিলেন। এরকম একটা মাতাল সময়ে, অর্থাৎ ১৯৭৯ সালে লেখা কবিতায় কবি সুনীল সাইফুল্লাহ মৃত্যুর ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। ওপরের লাইনটা তার কাব্যগ্রন্থ “দুঃখ ধরার ভরা স্রোতে” থেকে নেয়া। সত্তর দশকের বাংলা কবিতায় এ ধরণের বিবৃতি যদিও নতুন কিছু ছিলনা। কিন্তু তবুও সুনীল সাইফুল্লাহর ক্ষেত্রে ওপরের লাইনটা শুধুমাত্র স্বপ্নভঙ্গের বিবৃতি ছিল না। তার প্রমাণ তিনি দিয়েছিলেন, কবিতাটা লেখার ঠিক তিন বছর পরে। ১৯৮১ সালে তিনি আত্মহত্যা করেন। কবির লেখা পুরো কবিতাটা এরকম ছিল, 

 

মধ্যরাতে দরোজায় কড়া নাড়ে

কবরের মাটি সরিয়ে উদ্ধত উঠে আসা আমার কঙ্কাল।

তড়িঘড়ি শয্যায় উঠে বসে আমি দেখি

বুকের মাংস যোনির আকারে ফেটে গিয়ে

তৈমুরের তলোয়ারের মতো ঝকঝক করছে

আর তার ভেতর থেকে বিচ্ছুরিত

আমার চোখে দু” হাজার রমণীমুখ

ঠান্ডা কঙ্কালফুল হয়ে ফুটে উঠলো।

পুতুলের মুখের মসৃণতায় হাত রেখে

একদিন তাকে মনে হয়েছিলো মানুষের অধিক মানুষ

আজ সে মিথ্যে মাটির প্রলেপ মুখে নিয়ে

ছুঁয়ে যায় ভূমধ্যসাগরে ভাসা নাবিকের লাশ।

আমি বুকে হাত রেখে অনুভব করি

অংকুরিত সবুজের লাবণ্যের লজ্জাবতী ধরিত্রীর

প্রথম মাতৃত্ব অতিক্রম করে

চাঁদের সঙ্গমে আন্দোলিত দু”ফাঁক কোমলতায় জন্ম নিচ্ছে

অন্তরীশে প্রবাহিত অগ্নিগিরি, নিহত ভ্রুণের চোখ

আমার বুকে একি যোনি নাকি অর্জুনের ধনুক?

যমজ ছিলায় উৎক্ষিপ্ত তীরের ঘর্ষণে

মহাকাশে অগ্নিরমণীর কপাল ফাটিয়ে বেরিয়ে আসা

সবুজ পায়রার হৃৎপিন্ড চিবিয়ে খেয়ে

ঠিক তিন বছর পর আমি আত্মহত্যা করে যাবো। 

 

কবি তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বয়স মাত্র পঁচিশ। তার মৃত্যুর পর বন্ধুদের এবং জাকসু”র উদ্যোগে তার একমাত্র কাব্যগ্রন্থটি (প্রথম প্রকাশ জুন-১৯৮২) বের হয়। মৃত্যুর আগে দিনরাত খেটে পাণ্ডুলিপির কাজ শেষ করেছিলেন তিনি। আর পাণ্ডুলিপিটি পাওয়া গিয়েছিল তার বিছানায় বালিশের নিচে। বইটার ভূমিকা লিখেছিলেন তারই শিক্ষক কবি মোহাম্মদ রফিক।

 

কবি সুনীল সাইফুল্লাহর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কোড়া গ্রামে। বাবা-মায়ের জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন তিনি। নলতা হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে তিনি ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সে সময়েই ভালোবেসে বিয়ে করেন তারই পরিবারে লালিত মামাতো বোনকে। কিন্তু তার পরিবার বিষয়টি মেনে না নেয়ায় তাকে সাতক্ষীরায় ফিরে আসতে হয়। এক বছর পরে তিনি ভর্তি হন সাতক্ষীরা কলেজে। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু এ জরাগ্রস্ত পৃথিবীতে কবিতাকেই সঙ্গী জেনেছেন যিনি তার অর্থনীতি ভাল লাগবে কেন! এক শিক্ষকের পরামর্শে কবিতা- পাগল ছাত্রটি পরের বছর ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। এখানেই কবি হিসেবে তার সফল ও বলিষ্ঠ আত্মপ্রকাশ ঘটে। কবিতায় ঘোষণা দিয়েই আত্মহত্যা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হলে থাকা সুনীল সাইফুল্লাহ-১৯৮১ সালে। ব্যক্তি জীবনে প্রচণ্ড অন্তর্মুখী কবি আত্মহত্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যে কবিতায় মগ্ন ছিলেন এবং মারাত্মক মাত্রায় হতাশায় ডুবে ছিলেন, সেই প্রমাণ বহন করে তার একমাত্র কাব্যগ্রন্থ “দুঃখ ধরার ভরা স্রোতে”। বইটির মূল কপি মার্কেটে পাওয়া না গেলেও ইন্টারনেটে পিডিএফ পাওয়া যায়। আমি নিজেও আমার প্রয়োজনে নেট থেকেই পিডিএফ ডাউনলোড করে প্রিন্ট ও বাঁধাই করে নিয়েছি।  

 

আত্মহত্যার আগে শেষকথা কী লিখে যাবো এই প্রশ্ন

করে শেষ রাত শেষ আকাশ মাধুরী; শেষকথা কী বলে যাবো

সেই কর্কশ বিদ্যুৎ সবর্শরীর ঢেকে আছে, মেঘাচ্ছন্ন দিন-

কাঁদে বাসভূমি, ছিন্ন চালাঘর

সাম্রাজ্যশাসন কোনদিনই হবে না আমার

মাঝেমধ্যে যেটুকু দায়িত্ব পাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাই

অলস নিয়মকানন, ব্যভিচার, দিগন্ত ছোপানো ভঙ্গুর মায়াজাল;

আশৈশব অনিবার্য অনাচারে আনত শরীর ভাসে

শীতকালীন শীতলক্ষা- স্রোতে, সময়ে পঁচে, মেশে নিবির্কার

পবিত্র জলে- জন্ম কেন কথা বলে চোখে এই বিরোধ

তীরে তীরে কম্পমান হিম সংহারে, মর্তধারায়;

আত্মহত্যার আগে শেষ চিত্রলিপি কী দেখে যাবো

এই প্রশ্ন করে জন্মভূ, নগ্ন হয়ে দেখাই রুপান্তরিত জন্মরুপ

বিকলাঙ্গ- প্রবাহে শিথিল যৌনাঙ্গ- বিষ, শৈশবে অমল প্রাসাদে

দায়িত্বহীন রাজত্বসুখ, স্বপ্নসন্ধ্যায় বয়ে যায় সূর্যাস্ত সুষমা

বুকে হেঁটে শেষাবধি এই নদী তীরে, অনাদি মায়াকানন

এখানে নকটু বসি যাবার আগে শেষ দেখি রঙে রঙে কতোটুকু

কম্পমান স্বপ্নশরীর, ছোঁবো না কণামাত্র নপূংশক মাটি

ছোঁবো না পরাধীন সুষমা, নগ্ন হয়ে দেখাই রুপান্তরিত জন্মরুপ

পরান্ন- প্রবাসে এই অধিকার।

 

কিংবা

 

আত্মহত্যার আগে আমার নিঃশ্বাসের আগুনে ক্ষয়িষ্ণু

একদিন উৎসব হবে আলোছায়া আমলকি বনে,

সমস্ত ক্রন্দনের বুৎসভূমি ছুঁয়ে প্রবহমান নীরব নদীর ফুঁসে উঠলে

দুকূল

যেখানেই থাকি ফিরে আসবো,

খরস্রোতে অন্ধকারেকারে টালমাটাল জীবন প্রতিবাদহীন ভেসে যাবে

বৈনাশিক নিথর প্রবাসে তার আগে সমস্তই ধুলোখেলা-

কিছুদিন কাঁধে নেবো রাজ্যভার, কী ভেবে আমাকেই যে

উত্তরাধিকারী

মনোনীত করলেন রাজা বুঝি না মাথা মুন্ডু তার

দিগ্বীজয়ী মহারাজের অস্ত্রাঘাতে জজর্রিত স্বদেশভূমি

পাথির্ব উপঢৌকনে তাকে তুষ্ট রাখার রীতিনীতি শিখিনি কিছুই

তবু কী এক ক্রন্দনে বাঁধা পড়ে আছি

হাহাকার শুনলেই ফিরে আসতে হবে-

রাত্রির মাই চুষে সৃষ্টির সবটুকু আঁধার পান করার নেশায়

একজন নির্বাক বসে আছে জন্মাবধি, সে যতো পান করে আধাঁর

জন্ম দেয় তারো কিছু বেশী,

বসন্তদিনেষ আদিগন্ত সাগরতীরে ঘনভার মেঘ ডেকে যায়

কার আকুল কান্নর ধ্বনি জেগে ওঠে অন্তরীক্ষে, চিড় খায়

অনন্ত আকাশ-

কী রাজমুকুট পরবো এ দেশে, ভুল অঙ্গীকারের মাজর্না চাই রাজা

জন্মে নিয়েছি দেহভার বসবাসে যদি অবধারিত রাজ্যভার

তবে পিষ্ট হবো পাথরে-

রাজা তোমার উত্তরাধিকার ফিরিয়ে নাও।

 

কিংবা

 

চন্দনকাঠের পালংকে ঘুমন্ত রাজকন্যার নিতম্ব ছুঁয়ে

ঊঠে আসে করাত বিদ্ধ যুবতী বৃক্ষেরর যন্ত্রণা-

তার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি দেখি

জ্যৈষ্ঠের দূরন্ত ঝড়ে পিতামহের নিজের হাতে লাগানো

বকুল গাছের ডালপাতাফুল দুমরে মুচড়ে ভেঙে যাচ্ছে।

বৃষ্টির প্রার্থনায় আশৈশব চুমোয় চুমোয় রাঙিয়েছি মেঘমালা

আজ বুঝি বালি ঝরানো স্বভাব তার।

সারারাত টুপটাপ শিশিরের শব্দে তন্দ্রাচ্ছন্ন

অরণ্যভূমির ভেতর দিয়ে অসি হাতে হেঁটে যায় যুবরাজ

তার জুতোর নীচে শুকনো পাতার আর্তস্বরে

চুম্বনরত দুটো হলদে পাখির উষ্ণতা

ভেঙে ভেঙে বয়ে যায় জলাঙ্গীর ঢেউয়ের ধারায়।

বজ্রপাতের শব্দে নড়ে ওঠে কর্কশ দাম্পত্যমেত

ঘরের যাবতীয় আসবাব। আমি কোনোদিন

ওর মতো সুখী হতে পারবো না ভেবে

একদিন একটা টিকটিকি খুন করেছিলাম।

হিরণ্যবাহ রমণীর উৎসমুখে মুখ চেপে শুয়ে আছি

ভীষণ পরাজিত শিশু

হে চিত্রিতযোনি, তোমার গর্ভে আমাকে ফিরিয়ে নাও। 

 

মৃত্যুর এক বছর পর প্রকাশিত এ গ্রন্থের কবিতাগুলো কবির ব্যক্তিজীবনে ঘটে যাওয়া চরম হতাশার সাক্ষ্য বহন করে। তিনি সামন্ততান্ত্রিক পরিবারের সন্তান হিসেবে মূল্যবোধ আর ক্ষমতার ক্ষয়িষ্ণুতার বীজ হয়তো বহন করতেন ভেতরে ভেতরে। তাছাড়া তিনি প্রচণ্ড মেধাবী ছিলেন, সেই মেধার অনাদর তাকে দেখতে হয়েছিল, ফলে তীব্র অভিমানবোধেরও ব্যাপার থাকতে পারে। তবে সবচে রহস্যজনক ব্যাপার হলো, আত্মহত্যা বিষয়ে তার আগাম ঘোষণা। ১৯৭৯ সালে কবি যেমন লিখেছেন "ঠিক তিন বছর পর আত্মহত্যা করে যাবো আমি", তেমনি তারও আগে ১৯৭৭ সালে আরেকটি কবিতায় তিনি লিখেছেন যে এক সাধু তাকে বলছে "পঁচিশ বছর বয়সে মৃত্যু হবে তোর"।

 

আত্মহত্যার ব্যাপারে তার সুনিশ্চিত মনোভাব ছিল বহুদিন ধরে। তবে আরেকটা কথা শোনা যায়, এমনকি তার কবিতায়ও এর কিছু আলামত মেলে। অনেকে বলেন কবির একটা ইনসেস্ট রিলেশন ছিল। হয়তো সেটাকে নৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পারার বেদনাই তাকে এই পরিণতির দিকে তাকে ঠেলে দিয়েছিল! কে জানে? আসলে পারিবারিক, সামাজিক বিভিন্ন কারণসহ নৈরাশ্য তাকে তিলে তিলে নিঃশেষিত করে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। তার লেখা এরকম দুটি কবিতা-  

 

তুমি হেসেছিলে-

অমন প্রলয় জরায়ু-ছেঁড়া মৃত্যুর রাত্রে

আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি মৃত্যু

অজস্র পদ্মগোখরো উদ্ধত ফণায় ফণায়

নিয়ে এসেছে এক একটি জ্যোতির্ময় দেবশিশু

তুমি হেসেছিলে-

আমার সমস্ত বাতাস জুড়ে শিশুর মুখের গন্ধ

জন্ম যন্ত্রণায় থরোথরো ভূমিকম্প

তুমি হেসেছিলে- তুমি সহোদরা

একটি রাত শুরু মনে হয়েছিলো

আমারও বংশধর রেখে যাওয়া প্রয়োজন।

 

অথবা

 

কী যেন কী ফেলেছি আমি

আমার করতল ফেটে গন্ধ বেরিয়ে আসছে তার

লোহিত রমণীর পেলব গলায়

তপ্ত কড়াইতে ধানের মতো ফুটে ওঠে

জন্মেরর প্রথম পদতলে সবুজ মৃত্তিকা

তার ভেতরের অকস্মাৎ ভেসে ওঠে

পশমহীন মসৃন মটরশুটীর খোলার মতো চেরা

বক টুকরো মাংস, তাপহীন উজ্জ্বল একটি দিনের আভাস

সবুজ মাটি, খড়কুটো স্তুপের আড়ালে লুকোনো

একজোড়া নগ্ন বালক বালিকা

আমার করতল ফেটে গন্ধ বেরিয়ে আসছে তার

বস্তুত: সাবানে হাত ধুয়ে ফেলি বারবার

আরও গাঢ় হয় সে গন্ধ

করতলে বসে আছে দেখি হায়

অপাপবিদ্ধ কৈশোরের ছন্নছাড়া ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়।  

কবি সুনীলের কাব্যগ্রন্থটি মূলত সিরিজ কবিতার পাণ্ডুলিপি। ৪১টি পর্বের এ কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি পর্বই চিত্তাকর্ষক। যে বয়সে তিনি মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিলেন, সে বয়সের তুলনায় তার কবিতার সংখ্যা খুব বেশী নয়। তবে তার কবিতা সম্পর্কে যে গুণবাচক শব্দটি অবশ্যই অনিবার্যভাবে ব্যবহার করতে হবে, তা হলো, তার কবিতা ছিল তার একান্ত নিজস্ব। এইসব কবিতার মধ্যে অন্য কোন অগ্রজ কবি বা সতীর্থের প্রভাব খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। বহুমুখী প্রতিভা পরিস্ফুট হওয়ার আগেই তিনি অকালে ঝরে গেছেন। মানুষের মৃত্যু অনিবার্য কিন্তু এমন মৃত্যু আমাদের কাম্য নয়। আজ কবি সুনীল সাইফুল্লাহ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু রয়ে গেছে তার কাব্যগ্রন্থ, "দুঃখ ধরার ভরা স্রোতে"।

 

 

হদিস:  

১। দুঃখ ধরার ভরা স্রোতে- সুনীল সাইফুল্লাহ

২। ইন্টারনেট

পোস্ট ভিউঃ 6

আপনার মন্তব্য লিখুন