ব্রাত্যজনের কবি এবং সাধক, কুবির গোঁসাই

প্রবন্ধ ফুটনোটে জলছাপ
ব্রাত্যজনের কবি এবং সাধক, কুবির গোঁসাই

"আমার মাথায় আজ চূড়ো করে বেঁধে দাও চুল

তুমি হও একতারা, আমি এক তরুণ লালন,

অবাঞ্জিত ভক্তিরসে এ যাবৎ করেছি যে ভুল

সব শুদ্ধ করে নিয়ে তুলি নব্য কথার কূজন।"

                  (সোনালি কাবিন/আল মাহমুদ)

 

বাংলাদেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চল মরমী ভাবধারার কেন্দ্রভূমি। যুগে যুগে এখানে জন্ম নিয়েছেন লালন সাঁই, মনিরুদ্দিন সাঁই, পাঞ্জু সাঁই, কাঙাল হরিনাথ, গগন হরকরা, গোঁসাই ননী গোপাল দাস, শুকচাঁদ সাঁই, খোদা বকস সাঁই, কুবির গোঁসাই প্রমুখ লোক কবি ও মরমী সাধক। বাংলার বাউলরা মূলত পাঁচ ঘরানায় বিভক্ত। এরা কেউ সতীমা ঘরানার, কেউ লালন ঘরানার আবার অন্যরা উজল চৌধুরী, দেলবার সাঁইজি এবং পাঞ্জু শাহর ঘরানার। পোশাক- অবয়ব, সাধন- ভজনের পদ্ধতিতে খানিকটা অমিল থাকলেও ভাব- ভাবুকতায় এদের মাঝে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে বাউল মতবাদের যে শিখরস্পর্শী লোকপ্রিয়তা তার মূলে রয়েছেন বাউল সাধক লালন সাঁই ও তার গান। তার বাণী, গান, সাধনা, দর্শন এতো জনপ্রিয় যে তা লৌকিক জীবনের গণ্ডী পেরিয়ে নাগরিক জীবনকেও স্পর্শ করেছে সমান তালে। সাহিত্য সাধক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার (১৮৩৩-১৮৯৬) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, সুবোধচন্দ্র মজুমদার, সরলাদেবী চৌধুরানী তার গান সংগ্রহ করেছেন।   

 

একালেও তার বর্ণিল জীবন ও সঙ্গীত সাধনা নিয়ে দু”বাংলার অভিজাত সমাজ থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝেও রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ ও কৌতুহল। তাকে নিয়ে নাটক, যাত্রাপালা, ফিচার ফিল্ম, তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাকে নিয়ে রচনা করেন কালজয়ী উপন্যাস “মনের মানুষ” এবং এই উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রকার গৌতম ঘোষ নির্মাণ করেন আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র। প্রতিবছর চৈত্রের দোল পূর্ণিমায় তার সমাধি প্রাঙ্গণে নামে লাখো মানুষের ঢল। চৈত্র মাসের দোল পূর্ণিমায় লালন প্রবর্তিত সাধুসঙ্গ বা সাধুসেবা এখন বিশাল লোকমেলার রূপ নিয়েছে। তিনি আর ব্রাত্যজনের লালন নন, তিনি এখন বিবিসির শ্রোতাদের ভোটে নির্বাচিত সেরা কুড়ি বাঙালির একজন। অথচ তার সমসাময়িক অনেক সাধক গীতিকার সেই অর্থে মোটেও পরিচিতি পাননি। যেমন- আমরা অনেকেই হয়তো জানি না কুবির গোঁসাই কে ? লালনের সমসাময়িক এই সাধক ছিলেন একাধারে পদরচায়িতা, গায়ক, সাধক এবং সাহেবধনী সম্প্রদায়ের ভাবাদর্শের বিশ্লেষক ও ভাষ্যকার।

 

লালন ফকিরের মৃত্যুর পরে তার শিষ্যরা নানাভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েন, এরফলে তার ছেঁউড়ের কুটির রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মনিরুদ্দিন সাঁই নামে তার এক শিষ্য শিলাইদহ, কুষ্টিয়ার জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “মহিমার্ণব” সম্বোধন করে আশ্রম রক্ষার জন্য অর্থ মঞ্জুর করতে অনুরোধ করেন কিন্তু সে আবেদনে কাজ হয়নি। কারণ তাদের তখন শান্তিনিকেতনের খরচ মেটানো নিয়েই হতদশা অবস্থা। অগত্যা শিষ্যদের অল্পবিস্তর দানে কোন রকমে টিকেছিলো লালনের আস্তানা। কিন্তু ১৯৪৭সালে দেশভাগের পর এই অবস্থা রাতারাতি পাল্টে গেলো, কেনোনা লালনের ছেঁউড়ে পড়লো পাকিস্তানের ভাগ্যে। পাকিস্তান সরকারের সারা পূর্ব বঙ্গে ইসলামিকরণের জিগিরে লালন ফকির হয়ে গেলেন মুসলিম, তার কুঁড়েঘর পরিণত হয় মাজারে। সেসময়ের পাকিস্তান সরকার খাঁটি ইসলামি স্থাপত্য শৈলীতে গম্বুজঅলা সুউচ্চ সৌধ নির্মাণ করে। তবে এটা ঠিক যে, তার কুটির ভারতের ভাগে পড়লে তার অবস্থা হতো পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য লৌকিক সাধকদের কুটিরের মতো, চিহ্নহীন বা খুব বেশী হলে একটা ঢিবি। লালন সাঁইজি”র সৌভাগ্য যে,  তার কবর সংরক্ষিত হয়েছে, তার গান সংগ্রহ করা হয়েছে, লালন সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এবারে আসি কুবির গোঁসাইয়ের কথায়।

 

"পিরীতি করবি না কি জন্য বল দেখি। 

সংসারে আবাল-বৃদ্ধ পিরীতি ক”রে সুখী ।। 

পিরীত করতে স্বর্গ-মর্ত্য কোনখানে কে আছে বাকি

কুকুর-শিয়াল পীরিত করে, চালের বাতায় টিকটিকি।। 

ভবের পরে পীরিত করে, রঘুনাথ আর রাম জানকী

তারা চৌদ্দ বছর প্রেম করেছে অনাহারে তাই দেখি।।

পিরীত করে চখাচখী, দু”জনায় মাখামাখি

কুবির বলে অন্তিমকালে চরণধূলি মাথায় রাখি।।"

 

প্রেমতত্ত্বমূলক কথাগুলো চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন জামজামী ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের সাধক কুবির গোঁসাই (১৭৮৭- ১৮৭৯) এর। আলম ডাঙ্গার মধুপুর গ্রামে সেই ভিটে এখনো চিহ্নিত করা আছে। তার আসল নাম কুবের সরকার। জাতিতে যুগী সম্প্রদায়ের মানুষ এই কুবের সরকার। পরে চরণ পালের কাছে দীক্ষা নিয়ে হোন কুবের গোঁসাই এবং তা থেকে সাধারণ মানুষের মুখে কুবির গোঁসাই। নদীয়ার চাপড়া থানার বৃত্তিহুদা গ্রামে রয়েছে চরণ পালের ভিটে। আর রয়েছে কুবির গোঁসাই ও তাঁর স্ত্রী ভগবতী এবং সাধনসঙ্গিনী কৃষ্ণ মোহিনী দেবীর সমাধি।

 

তার অন্যতম প্রধান শিষ্য রামলাল ঘোষ এর খাতাতে তার স্ত্রীর নাম উল্লেখ করা আছে ভগবতী এবং সাধন সঙ্গিনী হিসেবে কৃষ্ণ মোহিনীর নাম। ভগবতী বাংলা ১২৯৭ সালের ২৯ শে শ্রাবণ, বুধবার কৃষ্ণপক্ষ দ্বিতীয়ায় এবং কৃষ্ণ মোহিনী বাংলা ১২৯৮ সালের ১৪ই আষাঢ়, বুধবার ত্রয়োদশ তিথিতে মৃত্যুবরণ করেন। একই খাতা থেকে কুবির গোঁসাই এর জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়, সেই তথ্য অনুযায়ী তার জন্ম বাংলা ১১৯৪ সালের ফাগুনী পূর্ণিমায় আর বাংলা ১২৮৬ সালের ১১ আষাঢ় তার মৃত্যু হয়। তিনি ৯২ বছর বেঁচে ছিলেন। আকারে বেশ লম্বা- চওড়া এই সাধকের গানের গলায় বেশ তেজ ছিলো। তার মুখের দাড়ি নাভিমন্ডল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। রামলালের ছন্দে,

 

         "হইও নাকো বিস্মৃতি        কেমন রূপের জ্যোতি

                          দেখি মনে করে তাই

       কেমন দাড়ির শোভা       যেন কাঁচা সোনার আভা

                      গোঁপের তুলনা দিতে নাই।"

 

লালনের ছেঁউড়ির বৈভবের বিপরীতে কুবির গোঁসাই এর কুটিরের অবস্থা লেখক সুধীর চক্রবর্তী”র বর্ণনায় এরকম, “খানিকটা ঝোপঝাড় পেরিয়ে পৌঁছোলাম কুবিরের বাড়ি। উঠোন, দাওয়া, কুঁড়েঘর। উঠোনের একপাশে ভগবতী আরেকপাশে কৃষ্ণ মোহিনীর সমাধি। সিমেন্টের ওপর সেকথা লেখা রয়েছে। একটা আলাদা ঘরে কুবিরের সমাধি। তার ব্যবহৃত তক্তপোশ, হুঁকো- কলকে, পাটি, কম্বল, খড়ম আর লাঠি। ঘরটি সুন্দর করে নিকোনো, ঝকঝকে তকতকে। সমাধিতে পেতলের পিদিম জ্বলছে, চারপাশে কটা দুধে আলতা ফুল ছড়ানো। সম্ভ্রম সহকারে জীবনে এই প্রথম একজন গ্রাম্য গীতিকারের দীন সমাধি দেখলাম।”   

এই কুবির গোঁসাই মরমী সাধক লালন শাহের সম সাময়িক, তিনি ১২০৯ টি গান রচনা  করেছেন। তবে তার নিজের হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি নষ্ট হয়ে গেছে। রামলাল ঘোষ বাংলা ১৩০০ সালের ৩১ আষাঢ় কুবির গোঁসাইয়ের স্বহস্তে লিখিত পাণ্ডুলিপি থেকে গানগুলো নকল করেন, এভাবে তা সংরক্ষিত হয়েছে। প্রেম তত্ত্ব মূলক লেখার পাশাপাশি তিনি দেহতত্ত্বের গানও লিখেছেন। কিন্তু সংগ্রাহকদের উপেক্ষার কারণে কুবির গোসাই লোক চক্ষুর অন্তরালেই রয়ে গেছে। তিনি সমাজের অভিজাত শ্রেণীর কাছে পরিচিতি লাভ না করলেও সহজিয়া সাধকদের তার গানের সাথে ঘনিষ্ঠতা আছে, তারা কুবির গোসাইয়ের নাম জানে এবং তার গানের মর্ম বোঝে। তার লেখা দেহতত্ত্বমূলক গান,  

 

"জন্ম ছাঁদা নৌকা তার নায়িকা সাঁদা মারা,

জল ঝরে বানে বানে নোনা বানে জীর্ণজরা,

তাকে গাবকালি নাই কালা পাতি সৃষ্টিধরের গঠন করা।।

মানব-তরীর ছিদ্র নটা টিপলে ফাঁসা মধ্যে ফাটা

হায়রে জল উঠে ফোটা ঘোচেনা ভুলুক মারা

নায়ের ভগ্ন গুঁড়া ডালি পড়ো পেরাক নড়ো তক্তা চেরা।।"

 

তিনি সঙ্গীত জীবনের শুরুতে যাত্রাপালায় অভিনয় করতেন। পরবর্তীতে সঙ্গীত রচনায় তার পরিচয় বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে, এরপর তিনি স্থায়ী বসবাস শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায়।সেখানে সাহেবধনী সম্প্রদায়ের চরণ পালের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন, পরবর্তীতে সাহেবধনী সম্প্রদায়ের সাধন সংগীত লেখেন। যেমন,

 

"জানি আল্লা আর রসুল ভিন্ন নয়

যুগল রূপ রাধাকৃষ্ণ বলি স্পষ্ট সর্ব ঘটেপটে রয়।

হিন্দু মুসলমানে সবাই মানে

বোঝে না ভাবের নির্ণয়।

সৃষ্টিকর্তা এক নিরঞ্জন

হিন্দু যবন দুই জাত নিরূপণ কীসের কারণ।

পুরুষের লক্ষণ প্রকৃতি আশ্রয়-

যুগলেতে জন্ম সবার মর্ম বোঝো মহাশয়।

দেখ রাম রহিম এক বটে চরণ ভেবে কুবির কয়।।"

 

এই গানের মাঝে লুকিয়ে আছে সাহেবধনী ঘরের গুহ্য কথা। তিনি আরও লিখেছেন,

 

"আমার এই কাদামাখা সার হল।

ধর্ম-মাছ ধরব বলে নামলাম জলে

ভক্তি-জাল ছিঁড়ে গেল।।

কেবল হিংসে নিন্দে গুগলি ঘোঙা পেয়েছি কতগুলো।

কুসঙ্গে বিল গাবালাম কুক্ষণে জাল নাবালাম

ক্ষমা-খালুই হারালাম উপায় কি করি বল-

আমি বিল ধুনে পাই চাঁদা পুঁটি লোভে-চিলে লুটে নিল।।"

 

এটা হলো রূপক গান। অর্থাৎ ধর্ম কায়েম করতে গেলে আগে চাই ভক্তি। অন্তরে হিংসা থাকলে শুধু জুটবে গুগলি ঘোঙা। ভেতরে ক্ষমা থাকলে আর লোভ না থাকলে তবেই আসল ফল পাওয়া যায়, নইলে কাদা মাখাই সার। 

 

আঠারো শতকের শেষে আর উনিশ শতকের গোড়ায় নদীয়া- যশোহর- পাবনা অঞ্চলে একদিকে যেমন জমিদারদের অত্যাচার এবং নীলকরদের অত্যাচার নিম্নবর্গকে নিঃস্ব করে দিয়েছে তেমনই ব্রাহ্মণ্যশক্তি আর মোল্লাতন্ত্র সাধারণ মানুষের মনে বুনেছে বিভেদের বীজ।সেই সংকটকালে লালন-পাঞ্জু শাহ্-কুবির গোঁসাই একই সমতলে থেকে এসবের প্রতিবাদ করেছেন তাদের গানে। লালন ঘুরতেন ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে, আর তিনি পাল্লাদারি গানের নেশায় ঘুরে বেড়াতেন পায়ে হেঁটে গ্রামের পরে গ্রাম। যার আদি অহংকার ছিলো,

 

"ভালো কাপড় বুনতে জানি-

চিরুনকোটা শালের বোটা ঢাকাই জামদানি।"

নতুন পেশায় এসে এবার তার নতুন অহংকার বলেন-

"আমার নাম কুবির কবিদার

এই দেশে দেশে বেড়াচ্ছি করে রোজগার।"

কবিগানের প্রতিপক্ষ গোলামজাদাকে তুড়ে দিচ্ছেন এই বলে যে-

"আমি তোদের শত্রু নই- 

জাতে হিন্দুর ছেলে আল্লা বলে করি শমনজয়ী।"

কখনোবা গর্বিত আত্মতুষ্টিতে গেয়ে ওঠেন-

"নাই মান অপমান আমার-

মান রাখে যদি আল্লাহাদি পরোয়ার

ওরে হক্ পথেতে ভয় কি যেতে

হুকুম আছে হক্তালার।।"

তিনি বিনয় করে যদিও বলেছেন-

"আমি নই কিছু এলেমদার-

সেই কেতাব কোরান জানিনেকো সন্ধি তার।

শুধু সাধুর মুখে প্রেমের কথা হক্নাম করেছি সার

হল তাতে মুগ্ধ মুলুকশুদ্ধ।"

 

তবুও তার যথেষ্ট শাস্ত্রজ্ঞান ছিলো, জানতেন বৈষ্ণবতা ও গৌরাঙ্গের ধারা, ইসলামের তত্ত্ব ও কোরআনও তার অধিগত ছিলো। কিন্তু তিনি ঘুরতে ঘুরতে এসে পড়লেন নদীয়ার এক দুর্গম পল্লী বৃত্তিহুদা গ্রামে। সেখানেই চরণ পালের কাছে ভাবের দীক্ষা নিয়ে ঐ গ্রামেই স্থিতু হয়ে সবরকম প্রকাশ্যতা ও প্রচার কামিতার বাইরে থেকে গেলেন। নানাকারণে বাঙালি সমাজে লালন যতোটা মনোযোগ ও গুরুত্ব পেয়েছেন তার একশতাংশও কুবিরের ভাগ্যে জোটেনি। লালনের মতো তার সহস্রাধিক গানেও মানবতার বাণী, ধর্মসমন্বয়বোধ আর সমকালীন সমাজবীক্ষার এতো অভিনব সত্য ও অনুভব আছে, যা অমরত্বের দাবী রাখে। দুঃখজনক হলে সত্য যে, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ, মীর মশাররফ হোসেন, উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের মতো  মানুষরা তার গানের খোঁজ পাননি। অথচ এই সাধকের গান, বহু বর্ণিল জীবন নিয়ে গবেষণা হতে পারতো কিংবা উপন্যাস রচনা করা যেতো। বিখ্যাতদের মধ্যে কেবল রামকৃষ্ণ দেবের কাছে কুবিরের “ডুবডুব রূপসাগরে আমার মন” গানটি পৌঁছে ছিলো এবং শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতে এটি পাওয়া যায়।  

 

হদিস:  

১। গভীর নির্জন পথে- সুধীর চক্রবর্তী

২। প্রাকৃতজনের জীবনদর্শন- যতীন সরকার

৩। বাউলতত্ত্ব- আহমদ শরীফ

৪। কুবির গোঁসাই ও সাহেবধনী সম্প্রদায়- রাজিব আহমেদ

৫। মানিনী রূপমতী কুবির গোঁসাই সহজিয়া কথা- সুধীর চক্রবর্তী

৬। ইন্টারনেট

 

পোস্ট ভিউঃ 5

আপনার মন্তব্য লিখুন