চিরকুট – আঠারো
সংক্ষিপ্ত পাঠ প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ
১
‘‘করোটিতে রক্তজবা’’
বেশ আগে থেকেই ফারহানা হক-এর লেখা কবিতার সাথে পরিচয় ফেসবুকে। ভাল লাগতো। আর সেই আগ্রহ থেকেই কাব্যগ্রন্থ ‘‘করোটিতে রক্তজবা’’ কিনেছি এবং গাড়িতে বসেই কাব্যগ্রন্থখানা শেষ করলাম। বেশ কিছু কবিতার কিছুকিছু লাইন এবং মেটাফর টাচ করে গেল। ভবিষ্যতে ওনার লেখা আরও আরও কবিতা পড়ার ইচ্ছে রইলো। উনি কবিতা লিখেন, ভাল গান করেন, দেশ-বিদেশে ঘোরেন আর চমৎকার সব ছবি তোলেন। ওনার ছবির বিশাল ভাণ্ডার থেকে বেশ কিছু ছবি ওনার অনুমতি নিয়ে আমার কবিতায় অনেকবার ব্যবহার করেছি। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। ভাল থাকবেন কবি।
২
‘‘তোমার মৃত্যু
দেখবো’’
রাজু আহমেদ-এর সাথে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ অনেকদিন থেকেই। উনি আবৃত্তি করেন, আমার শুনতে ভাল লাগে এবং শুনি। কিন্তু এই প্রাণবন্ত মানুষটা যে এত দারুণ কবিতা লিখেন তা সত্যিই জানা ছিলনা। ওনার কাব্যগ্রন্থ ‘‘তোমার মৃত্যু দেখবো’’ থেকে সব ক’’টা কবিতাই পড়েছি এবং দারুণ লেগেছে। এই উচ্ছল হাসিখুশি মানুষটা এভাবেই হাজার বছর বাঁচুন কবিতা এবং আবৃত্তির মাঝে, কলমে ও কণ্ঠে জোয়ার আসুক, দোয়া করছি ছোটভাই।
৩
‘‘অগ্নি প্রতিজ্ঞা’’
কবি রুনা রহমান-এর সাথে ফেসবুকে পরিচয়, কোন একটা গ্রুপে যুক্ত থাকায় ওনার কবিতা নিয়মিত পড়া হয়। সম্প্রতি ওনার একটা স্ট্যাটাসে দৃষ্টি আকৃষ্ট হলো, আর সেদিনই সম্ভবত বইমেলা থেকে ‘‘অগ্নি প্রতিজ্ঞা’’ বইটা কিনলাম। এটা স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপরে লেখা উপন্যাস। এখনও পড়িনি, তবে শীঘ্রই পড়ে রিভিউ দিবো, ইনশাআল্লাহ্। আপনার জন্য শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।
৪
প্যাশন থেকেই কবিতা লিখি, মনের আনন্দে গাঁটের পয়সা খরচা করে আবৃত্তি করিয়ে নিজে শুনি, অন্যদের শুনিয়ে আনন্দ পাই। আমি
বিশ্বাস করি কষ্টটা একান্ত নিজের আর আনন্দ সবার সাথে উদযাপনের বিষয়।
যেহেতু একটা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা তাই কবিতা লেখা কিংবা কবিতার আবৃত্তি শোনা একটা দীর্ঘ পথচলার গল্প। সংস্কার, মূল্যবোধ এবং স্বচ্ছলতাও আমাকে স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করেছে। তবে পেশাগত ব্যস্ততা এবং বিধিনিষেধের কারণে নিজেকে প্রকাশ করার স্কোপ ছিলনা, আর এভাবেই অনেকটা বছর। নিজেকে প্রকাশ করার স্কোপ না থাকুক, চর্চাটা নিজের মত করে ঠিকই চালিয়ে গেছি। কারণ সাহিত্য চর্চার বিষয়, এটা অন্যরকমের একটা জীবন যাপন। কাছের মানুষজন এবং কলিগরা জানেন আমি টুপ করে আকাশ থেকে পড়িনি, আমার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড এবং জোরালো শেকড় আছে, সেখান থেকেই উঠে আসা। আমি জানি আমি একটা স্ট্রাগলের মাঝে আছি, তবে এনিয়ে মোটেই চিন্তিত নই। ঘাম আর বুলেটের সাথে পরিচয়ে যে কঠিন জীবন কাটিয়েছি তা দিয়েছে অদম্য স্পৃহা, উদ্যম এবং লেগে থাকার দৃঢ় মানসিকতা। ইনশাআল্লাহ্ এই স্ট্রাগলটাও সামলে উঠতে পারবো।
৫
যেকোনো লেখকের মনে সুপ্ত ইচ্ছে থাকে একদিন প্রকাশক তার ওপরে আস্থা রেখে বই প্রকাশ করবেন। কারণ এটা একই সাথে আর্টস এবং কমার্স। আলহামদুলিল্লাহ্ মাওলা ব্রাদার্স
আস্থা রেখে ২০২১ সালে ‘‘জলের কাছে যাবো’’ কাব্যগ্রন্থ এবং ২০২২ সালে
‘‘গ্রাউন্ড জিরো’’ থ্রিলার প্রকাশ করেছেন, এবারে যেহেতু কোন
স্ক্রিপ্ট দিতে পারিনি তাই দায়টা আমার। ২০২৩ সালে প্রতিভা প্রকাশ থেকে ‘‘বসন্ত এসে
ছুঁয়ে গেছে’’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশকের তথ্যমতে রকমারি এবং স্টল, দু’’জায়গা
থেকেই কাব্যগ্রন্থটা বিক্রি হচ্ছে। ছুটির
দিনগুলোতে বইমেলায় যাই তবে স্টলে কম থাকা হয়, আর এজন্য স্টলের অভিযোগ আমাকে অনেকেই
খোঁজেন কিন্তু আমি থাকি নাগালের বাইরে। আসলে বইমেলাতে যাই, স্টলে স্টলে বই ঘাটাঘাঁটি করি, তবে আড্ডাটা
দেয়া হয় লিটলম্যাগ চত্ত্বরে, বন্ধুদের এবং কিছু প্রিয় মানুষদের স্টলে। সেসব আড্ডার
ছবিতোলা হয়না বলে পোষ্ট দেয়াও হয়না। মিলিটারি একাডেমিতে যোগদানের আগে, কলেজ জীবনে
রংপুরে যেহেতু লিটল ম্যাগ-এর সাথে জড়িত ছিলাম তাই ওটা আমার প্রাণের জায়গা। সেখানকার
মানুষগুলোও বড় প্রিয়। সবাই ভাল থাকবেন। সবার জন্যই শুভ কামনা রইলো।
পোস্ট ভিউঃ 1