রেল লাইন, জীবন কখনো যেন রেল লাইন, সমান্তরালে দুটো করোটি হাঁটছে হাসছে, শূণ্য গর্ভ কথা
বলছে- তবু স্পর্শ বিহীন,
একই
আকাশ-চন্দ্রাতপে তাদের কথা খাবি খায়, হাড়ের গারদে ঘূর্ণিপাক-ভাবের বুদ্বুদ, কঠিন নীরবতা তারা দুজন, তাদের ছায়ারা
মেশে তবুও নিস্তব্ধতা, না বলা কথার টুকরো অপেক্ষায় থাকে, আপন স্মৃতির রেখায় তাদের দীর্ঘ পথচলা। রেলের কামরা, চলার পথে রেলগাড়ি যেমন- ছোটবড় কতো স্টেশনে থামে, যাত্রীরা কামরায় ওঠে-কেউ কেউ নামে, জীবনের বিভিন্ন বাঁকে তেমন- কেউ কেউ আসে,
পরিচিত
হয় আবার কেউবা ফিরিয়ে রাখে মুখ কেউ কামরা আলো করে থাকে, লেঠেল চোখে জীবনের ডুবোচর দখল করে, স্বভাবে পরিযায়ী
কেউ কেউ- আড্ডার ফাঁকে এক কাপ দুকাপ চা খায় বিল দেয়া নিয়ে অযথা হুরোহুরি, তারপর- নিকোটিনে ব্যক্তিত্বের ব্যারোমিটার মাপে নেমে যায় যে যার আপন গন্তব্যে, পেছনে পড়ে থাকে ধুলোমাখা স্মৃতি কথার টুকরোগুলো সব ইথারে ভাসে। যাত্রী, দিন শেষে মানুষ আসলে একা- শেষ ট্রেন ছেড়ে যায়, লাল বিন্দু রেখা মিশে গেলে,
প্ল্যাটফর্মের
অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা নিঃসীম আঁধারিতে সিগন্যাল খুঁটি - কাকের বাসা পড়ে থাকা পলিথিন-বাদামের খোসা পরিত্যক্ত রেল লাইন-রেলের কামরা জমাট আঁধারে গুমটি ঘর-চায়ের দোকান, সব ফাঁকা নিভে যায় আলো-পিদিমের ছায়া, প্ল্যাটফর্মে রোজ কত পরিচিত মুখ! তবু মানুষ আসলে একা।